রসুনের উপকারিতা
আমরা আগে থেকেই জেনে আসছি যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রসুন খুবই চমৎকার কাজ করে,টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ায় এবং শুক্রাণুর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে,প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে খুবই উপকারী। । এছাড়াও অনেক পুষ্টিগুণ এর ভিতর রয়েছে, মানব দেহের জন্য উপকারী সকল ধরনের পুষ্টিগুণ এর মধ্যে বিদ্যমান।
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক : রসুনকে বলা হয় প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। কারণ এর মধ্যে সকল ধরনের রোগ প্রতিরোধী উপাদান থাকে যা কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক। সাধারণত রসুনে ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং বিভিন্ন প্রকারের এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এসব উপাদান দেহের বিভিন্ন রোগ সারিয়ে তুলে এবং অনেক পুষ্টির অভাব পূরণ করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে : মানব দেহে দুই ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায় যার একটি উপকারী এবং অপরটি অপকারী। অপকারী কোলেস্টেরল এলডিএল দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকারক বিশেষ করে হার্টের জন্য। কারণ এই কোলেস্টেরল হার্টের পেশি দুর্বল করে দেয় এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। তবে নিয়ম করে রসুন খেলে তাতে থাকা পুষ্টি উপাদান ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে আনে এবং উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন পরে প্রাকৃতিক উপাদানের। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রকারের খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন ও মিনারেল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সে দিক থেকে রসুন দেহে সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করার জন্য একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম। তাছাড়া রসুনের আচারের সাথে সরিষার তেল মিশ্রিত থাকায় তা দেহের জন্য প্রয়োজনীয় এন্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করতে সক্ষম হয়।
খনিজের চাহিদা পূরণ করে : সরিষার তেল এবং রসুনে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন থাকে। এই সকল উপাদান শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সরবরাহ করে।
খাবার রুচি বৃদ্ধি : প্রায় সকল ধরনের আচার মুখরোচক হয় যা রুচি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। কারণ কোন খাবারের কালার, ঘ্রাণ, স্বাদ ও পুষ্টি উপাদানের উপর নির্ভর করে মস্তিষ্ক মুখের রুচি বৃদ্ধি করে। সে দিক থেকে আচারের নাম শুনলেই আমাদের মুখে পানি চলে আসে। সেই আচার যদি আবার হয় রসুনের আচারের মত টক, ঝাল, মিষ্টি তাহলে তো কোনো কথাই নেই।
রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে : রক্ত চলাচল শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সঠিক পদ্ধতিতে রক্ত চলাচল সংঘটিত হলে তা শরীরের মরা কোষ জীবিত করে। যে কারণে অপুষ্টি দূর হয় এবং গঠনগত নানা সমস্যা দূর হয়। অন্যদিকে সঠিক মাত্রায় রক্ত চলাচল হওয়ায় হৃৎপিণ্ড পরিপূর্ণ রক্ত সরবরাহ পায়। যা আমাদের সর্বোপরি শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
হাড় মজবুত করে : রসুন এবং সরিষার তেল শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহ করে। এই উপাদান গুলো হাড়, মাংসপেশি ও অস্থিমজ্জার গঠন ঠিক করে। অন্যদিকে হাড়ের বোন ডেনসিটি নিয়ন্ত্রণ করে এবং সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। এতে হাড় শক্তিশালী থাকে এবং হাড়ের ব্যথা নিরাময় হয়।
জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করে : জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য যে সকল খাবার পাওয়া যায় তাদের মধ্যে রসুন অন্যতম। রসুনের সাথে যখন সরিষার তেল এবং অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে আচার তৈরি করা হয় তখন এর পুষ্টি উপাদান আরও বৃদ্ধি পায়। এই কারণে প্রতিদিন খালি পেতে কাঁচা রসুন খাওয়া সম্ভব না হলেও খাবারের সাথে রসুনের আচার খাওয়া যেতে পারে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে : রসুনে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে যা দেহে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। রক্ত বেশি উৎপাদিত হলে তা ব্লাড সার্কুলেশনে সহায়তা করে এবং মানুষিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
বাত ব্যথা দূর করে : যে কোন ধরনের ত্বকের প্রদাহ এবং বাত ব্যথা উপশম করার জন্য সরিষার তেল অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যখন রসুনের আচার খাওয়া হয় তখন সরিষার তেল এবং রসুনের উপাদান গুলো প্রদাহ সহ সকল ধরনের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।
ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করে : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে রসুন দেহের চর্বি কমাতে কাজ কাজ করে। অন্যদিকে অতিরিক্ত জমা থাকা ক্যালোরি যা চর্বি বৃদ্ধি করে তা বার্ন করার জন্য রসুন কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই কারণে ওজন কমানো থেকে শুরু করে বাড়তি মেদ কমাতে পরিমাণ মত রসুন খাওয়া যেতে পারে।
সতর্কতা : ডায়রিয়া, বমি বা বুকে জ্বালাপোড়া হলে রসুন না খাওয়া ভালো, গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে খাওয়া যেতে পারে,
অনেকেরই রসুনে এলার্জি থাকে, তাদের রসুন না খাওয়া ভালো ।
Food
Garlic Pickle রসুনের আচার 400 গ্রাম
Original price was: 640৳ .550৳ Current price is: 550৳ .
+ Free Shippingআচার
Weight | 450 g |
---|